শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

বাংলাদেশের রাজধানী - ঢাকা


ঢাকা (ইংরেজি: Dhaka, অতীতে Dacca বানানটি ব্যবহৃত হত) বাংলাদেশের সংবিধানের  অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাংলাদেশের রাজধানী এবং ঢাকা বিভাগের প্রধান শহর। ঢাকা একটি মেগাসিটি এবং দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রধান শহরও বটে। বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত এই শহর বাংলাদেশের বৃহত্তম শহর। ঢাকার মহানগর এলাকার জনসংখ্যা প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ।এটি বিশ্বের নবম বৃহত্তম এবং সর্বাপেক্ষা ঘন জনবহুল শহরগুলির অন্যতম। ঢাকা শহরটি মসজিদ শহর নামেও পরিচিত। এখানে বিশ্বের সেরা মসলিন উৎপাদিত হয়। এছাড়া ঢাকা বিশ্বের রিকশা রাজধানী নামেও পরিচিত। এই শহরে রোজ প্রায় ৪০০,০০০টি সাইকেল রিকশা চলাচল করে। বর্তমানে ঢাকা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রধান সংস্কৃতি, শিক্ষা ও বাণিজ্যকেন্দ্র। সপ্তদশ শতাব্দীতে মুঘল শাসকদের অধীনে এই শহর জাহাঙ্গীর নগর নামে পরিচিত ছিল। সে যুগে ঢাকা ছিল প্রাদেশিক রাজধানী এবং বিশ্বব্যাপী মসলিন বাণিজ্যের একটি কেন্দ্র। যদিও আধুনিক ঢাকা শহরের বিকাশ ঘটে ঊনবিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ শাসনে। এই সময় কলকাতার পরেই ঢাকা বাংলা প্রেসিডেন্সির দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী হয়ে ওঠে। ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গের পর ঢাকা নবগঠিত পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশের রাজধানী হয়। তবে ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ প্রত্যাহৃত হলে ঢাকা তার প্রাদেশিক রাজধানীর মর্যাদাটি হারায়। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর ঢাকা পূর্ব পাকিস্তানের প্রশাসনিক রাজধানীতে পরিণত হয়। পরে ১৯৭১ সালে ঢাকা স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের রাজধানী ঘোষিত হয়। ইতিপূর্বে সামরিক আইন বলবৎ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা, সামরিক দমন, যুদ্ধ ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের তাণ্ডবলীলার মতো একাধিক অস্থির ঘটনার সাক্ষী থাকে এই শহর। আধুনিক ঢাকা বাংলাদেশের রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক জীবনের প্রধান কেন্দ্র। এই শহরের নগরাঞ্চলীয় অবকাঠামোটি বিশ্বে সর্বোন্নত হলেও দূষণ, যানজট এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে যথেষ্ট পরিষেবার অভাব ইত্যাদি শহুরে সমস্যাগুলি এখানে প্রকট। সাম্প্রতিক দশকগুলিতে ঢাকার পরিবহন, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও গণপূর্ত ব্যবস্থায় যে আধুনিকীকরণ হয়েছে, তা বিশেষভাবে লক্ষণীয়। বর্তমানে এই শহর প্রচুর বিদেশী বিনিয়োগ টানতে এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিধি বাড়াতে সক্ষম হয়েছে। সারা দেশ থেকে প্রচুর মানুষ ঢাকায় আসেন জীবন ও জীবিকার সন্ধানে। এই কারণে ঢাকাও হয়ে উঠেছে বিশ্বের দ্রুততম ক্রমবর্ধমান নগরী।

সোর্স

বিখ্যাত বিজ্ঞানীদের জন্ম তারিখ - ১

১) আইজাক নিউটন জন্মগ্রহন করেন ১৬৪২ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ ডিসেম্বর ।
২) আলবার্ট আইন্সটাইন জন্মগ্রহন করেন ১৮৭৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ মার্চ ।
৩) টমাস আলভা এডিসন জন্মগ্রহন করেন ১৮৪৭ খ্রিষ্টাব্দের ১১ ফেব্রুয়ারী ।
৪) আলেসান্দ্রো ভোল্টা জন্মগ্রহন করেন ১৭৪৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ ফেব্রুয়ারী ।
৫) আলেক্সান্ডার গ্রাহাম বেল জন্মগ্রহন করেন ১৮৪৭ খ্রিষ্টাব্দের ৩ মার্চ ।
৬) আলফ্রেড নোবেল জন্মগ্রহন করেন ১৮৩৩ খ্রিষ্টাব্দের ২১ অক্টোবর ।
৭) আন্দ্রেস সেলসিয়াস জন্মগ্রহন করেন ১৭০১ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ নভেম্বর ।
৮) আন্টোনিয়ো ল্যাভয়সিয়ের জন্মগ্রহন করেন ১৭৪৩ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ আগষ্ট ।
৯) ব্লেস প্যাসকেল জন্মগ্রহন করেন ১৬২৩ সালের ১৯ জুন ।
১০ ) চার্লস্‌ ব্যাবেজ জন্মগ্রহন করেন ১৭৯১ সালের ২৬ ডিসেম্বর ।
১১ ) চার্লস্‌ ডারউইন জন্মগ্রহন করেন ১৮০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারী ।
১২ ) ডিমিট্রি মেন্ডেলিফ জন্মগ্রহন করেন ১৮৩৪ খ্রিষ্টাব্দের ৮ ফেব্রুয়ারী ।
১৩ ) এডমন্ড হ্যালে জন্মগ্রহন করেন ১৬৫৬ খ্রিষ্টাব্দের ৮ নভেম্বর ।
১৪ ) ফ্রান্সিস বেকন জন্মগ্রহন করেন ১৫৬১ খ্রিষ্টাব্দের ২২ জানুয়ারী ।
১৫) ফ্রেডরিখ ওহলার জন্মগ্রহন করেন ১৮০০ খ্রিষ্টাব্দের ৩১ জুলাই ।
১৬ ) জর্জ ওহম্‌ জন্মগ্রহন করেন ১৭৮৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ মার্চ ।
১৭ ) গটফ্রেইড উইলহেম লেবনেজ জন্মগ্রহন করেন ১৬৪৬ খ্রিষ্টাব্দের ১ জুলাই ।
১৮ ) এডউইন হাবল্‌ জন্মগ্রহন করেন ১৮৮৯ খ্রিষ্টাব্দের ২০ নভাম্বর ।
১৯) এনড়িকো ফার্মী জন্মগ্রহন করেন ১৯০১ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ সেপ্টেম্বর ।
২০ ) এড়নেস্ট রাদারফোর্ড জন্মগ্রহন করেন ১৮৭১ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ আগষ্ট ।